অবলার শ্রম
নর পুড়ে তপ্ত রোদে, ঠিক দুপুরে রাস্তাতে,
নারী পুড়ে ঠিক মেঝেতে, ওই সময়ে বন্দি সে।
দেখে সবাই নরের শ্রম পথে,মাঠে আর ঘাটে,
দেখে কি কেউ নারীর শ্রম, চারদেয়ালের মাঝে?
অবলা বলিয়া কেন কর হেলা? কেন বল তাকে বোঝা?
কোন ধর্মেতে আছে বল শুনি, শুধু কামিনী বলিয়া ডাকা?
ধর্ষিতা লক্ষ নারীর প্রাণে, আজিকার স্বাধীনতা,
কে কহিল, নার-ই শুধু দেশের স্বাধীনচেতা?
দেখিলাম আয়েশা উস্ট্রের যুদ্ধে মুক্ত হস্তে তরবারি
নারী বনেও শত-শত শত্রুর একমাত্র বধকারী।
দেখিয়াছি রাজিয়া হস্তির পিঠে যোদ্ধার বেশে গমন,
নিজ হস্তে অভিযান প্রেরণ আর করিতেন বিদ্রোহ দমন।
বন্ধু, রান্না ঘরের অগ্নির দহনে কাদের আচল দহে?
বল, তপ্ত কড়াইয়ের উত্তপ্ত তৈল কাদের বদনে ফুটে?
বল না বন্ধ তুমি? নারী কি জন্ম দোষী?
নারীর শ্রমেই তব ভবিষ্য অদ্য মহারথী।
ধর্ম দিয়াছে নারীর স্বাধীনতা, আমরা করি হনন,
নারী কেন আজ মুক্ত ভূ-তে দোজখের ইন্ধন?
ধর্মান্ধরা শুনো, এ নয় মিছে কোন,
অবলা হীন, তোমার ঈমান নয়'ত পরিপূর্ণ।
কামিনী ছাড়া কোথা হইতে তোমার জগতে চরণচারণ?
চল্লিশ খানা হজ্জের পূণ্য মিলে দেখিলে তাহার বদন।
কুরআনে পড়িয়াছি "নিসা"বলিয়া রহিয়াছে সূরার উল্লেখ,
রাযুল বলিয়া করিতে পারেনি সে নিসাকে কখনো ভেদ।
দিবসে ব্যস্ত,যখনি ক্লান্ত, পরশে তাহার সে অবিশ্রান্ত,
কাব্যের চরণে, নারীর চারণে হয় সে কাব্য মনোভীষ্ট।
সবই যদি তোমাদের শ্রম, তবে দেখাও আমাকে দেখি,
নারী হীন, তুমি এ জগতের একজন মহা বৈরাগী।
~ রেদ্ওয়ান আহমদ
Comments
Post a Comment