Adcash

পোশাক ও সংস্কৃতি

 পোশাকের বিষয়টায় এখানে 'ধর্ম ও সংস্কৃতি'র সাথে জড়িত। সংস্কৃতির সংজ্ঞায়ন করতে গেলে এভাবে করা যায়, 'একটা নির্দিষ্ট জাতি-গোষ্ঠি বা অঞ্চলের প্রচলিত চলা-ফেরা, রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি। আর ধর্মের সংজ্ঞায়ন করলে এভাবে করা যায়, 'একটা নির্দিষ্ট মানুষজনের চলা-ফেরা, রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান ইত্যাদি। 


তাহলে এখানে ধর্ম ও সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য কী দাঁড়াল? 

একটা নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ডের ভিত্তিতে গড়ে উঠে, আর আরেকটা নির্দিষ্ট জনগনের ভিত্তিতে গড়ে উঠে।


এখন প্রশ্ন হলো, দুইটা তো একে অপর থেকে অভিন্ন। 

কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে, ভূ-খণ্ড হওয়ার শর্ত হলো জনগন থাকতে হবে। জনগন বৈ সে ভূ-খণ্ডের আলোচনা ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার মতো। 

কিন্তু প্রশ্নটা হলো সংস্কৃতি গড়ে উঠে কীভাবে?

একটা জিনিসের যুগ-যুগ প্রচলনই সংস্কৃতির ভিত্তি। আর সে অঞ্চলের আরো একটা নির্দিষ্ট জনগনের একটা ধর্মীয় রীতি-নীতি, আচার-আচরণ গড়ে উঠে। আর ওই ধর্মীয় আদলেই ওই ক্ষুদ্র ধর্মীয় অঞ্চলের সংস্কৃতি গড়ে উঠে। 

সুতরাং, পরিশেষে আমরা বলতে পারি, ধর্মও একটা সংস্কৃতি। যেটা হাজার বছর ধরে প্রচলিত। এই ধর্মীয় সংস্কৃতিকে কোনো ভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। 


তেমনি বাংলাদেশেও একটা জাতীয় সংস্কৃতি বিদ্যমান। তেমনি জাতীয় ধর্মও ইসলাম বিদ্যমান। 

এমনকি সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা পুরোপুরি উল্লেখ আছে। তাছাড়া, বাঙ্গালী মুসলিম সমাজে পর্দা একটি সংস্কৃতিও বটে। 


হ্যা, এটা সত্যি যে, বাংলাদেশে অনেক জাতি, ধর্ম ও সংস্কৃতি বিদ্যমান। প্রতিটা জাতিরই স্বকীয়তা আছে।

তাই, একজন শাড়ি-ব্লাউজ, ধুতি-পাঞ্জাবি, শার্ট-প্যান্ট ইত্যাদি পরলে যেমন মুক্তিযুদ্ধ চেতনার পরিপন্থী নয়, তেমনি একজন জুব্বা-বোরকা, টাখনুর উপরে কাপড় পরলেও সেটা মুক্তিযুদ্ধ চেতনার বিরোধী নয়।


রেদ্ওয়ান আহমদ 

Comments

Popular Posts