এই বাংলা
খালি-ফাটা মাঠে বসে একা দূর্বাঘাসের 'পরে,
রক্তিম সূর্যটা আরো রক্তিম হয়ে ক্রমাগত যাচ্ছে মিশে;
ধান ক্ষেতের আগাছাগুলোকে মনে হচ্ছে যেনো
প্রকৃতির দানে এক অগোছালো সৌন্দর্যে হাসছে।
চুলগুলো দেখি শিশির-ভেজা হয়ে নাচছে আপন লয়ে
লোমগুলো দেখি শিশির ছোঁয়ায় সজীব তমাল হয়ে,
শুষে নিয়ে এই বাংলার প্রাণ হয়ে উঠছে বারেবারে;
মেঘগুলো খন্ড খন্ড হয়ে কখনো সাদা কখনো ধূসর রঙে
নেমে আসছে আশীর্বাদ হয়ে বাংলার ঘরে-ঘরে।
ঝিঁঝি পোকারা কেমন আচমকা ঠুনকো আঘাতেই
মনের দাড় খুলে নিচ্ছে গুনগুন বাতাসের সুরে'
দূর আকাশের ক্লান্ত খেচর ঝর্ণার মতো করে উড়ে
নেমে আসছে কাঠ, বট আর আকাশী গাছের নীড়ে।
দূর থেকে উঁচু গাছগুলোকে মনে হচ্ছে যেনো
মেঘগুলোকে বেঁধে নিয়েছে কেমন নিজ মুকুটে,
আমার এই বাংলার বুকের নতুন ধানের শীষে
পোকাদের চলাফেরায় সঙ্গী হতে ইচ্ছে করে।
মুয়াজ্জিন ডেকে-ডেকে যায় নিত্য তাহার লয়ে
এভাবেই মিশে যেনো সে এই বাংলার আকাশে-বাতাসে,
কাকেরা সারি বেঁধে-বেঁধে বসে আছে মাটে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে;
নতুন বউটা আঁচল টেনে তুলে গাভী-বাছুরের
বন-পানি তুলে দিচ্ছে কেমন সোনার গামলা ভরে।
এই দেশ-মাটি, এই জন্মভূমি সবই যেনো আমার রক্তে বহে
কখনোও যেনো তারে না ভুলি, শেকড় না যাই ভুলে,
এই নদী-মাঠ, এই ঘাট-বাট জন্ম থেকে আমায় চিনে
মরণেও যেনো এই বাংলার ধুলো আমার দেহে পড়ে।
~ রেদ্ওয়ান আহমদ
Comments
Post a Comment