নিসর্গ ভ্রমণ
চললাম অরণ্য আর সমুদ্রে ঘেরা
কোন এক অচিনপুরে,
ভ্রমণ ছিল না বটে,
তবুও একটা নাম দিলাম তার "নিসর্গ ভ্রমণ"।
মনে হচ্ছে যেনো রূপে-গন্ধে আসর মাত করে রেখেছে
কোন এক নাচনেওয়ালী আর
উড়ে চলা গায়কের দল,
সূর্যকিরণ এসে
চোখে-মুখে হাসে শেওলা রঙের ঘোলাটে জল।
সবুজে ঘেরা কোনো এক আকাশপুরী,
দুধারে হাজার পায়ে হাটছে কেউ,
সারি-সারি তরুলতা
যেনো ছুঁয়ে দেয়,
মনে হয় নেমে গিয়ে তারে বুকে লই।
এখানে-ওখানে কতো কাঁচা ঘর-ছন ঘর
লেগে আছে বঁধুটির পাকা হাত,
ভোর হলে ভেসে আসে
পাক কুরানের ধ্বনি,
দেখা যায় পাখিদের দলবেঁধে দৌঁড়-ঝাপ।
গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টিরা চোখের বিন্দু হয়ে উড়ে চলে-
উড়ে যায়, পিছুডাক নেই তার,
জানলার সাদা কাঁচে
কতো প্রাণ সঞ্চারী
ফিরে আসে যেনো সে দৃষ্টিতে বারবার।
দূরন্ত শৈশব ছুটে চলে আজ শুধু,
দুচোখের পাতার রং তুলিতে
এঁকে নেই খুব যত্ন করে,
এ আমার দেশ,
সুজলা সুফলা বেশ, কুঁজো বুড়ির লাঠির হাতলে।
কোনো এক স্টেশনে চায়ের ধোঁয়ায় চোখ ঝাপ্সা হল,
বিচিত্র পৃথিবীর সবকিছুতেই ছন্দের খেলা,
আহ, কী মধুময় এই দেশ আমার!
শনশন বাতাসে,
টপটপ বরিষায়, ছন্দের জাদুকর দাদুর চোখের চশমায়।
wow
ReplyDelete💗
Delete